বৃহস্পতিবার (১৫এপ্রিল) বিকেলে এতথ্য জানান গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
অসহায় পরিবারের ওই তরুণী ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য পুরোহিতের কাছে গেলে তার ধর্ষণচেষ্টা করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা গ্রামে শ্রী শ্রী গিরিধারী জিও মন্দিরের পুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন টাঙ্গাইলের দেলদোহার থানার সিলিমপুর গ্রামের কালু চৌহানের ছেলে প্রাণ গবিন্দ দাস বাবাজি ওরফে ফরেস্ট চৌহান (৪৬)। ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য ওই পুরোহিতের কাছে প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন এলাকার তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী বাড়ির ওই তরুণী অন্যান্য সময়ের মতো গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য গেলে মন্দিরের পুরোহিত গবিন্দ দাস তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
পরে পুরোহিত গবিন্দ দাস বাবাজি ওরফে ফরেস্ট চৌহানকে এলাকাবাসী ধরে গণধোলাই দিলে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। এসময় পুরোহিতের সহযোগী দিপংকর দেব তপন পালিয়ে যান। বিষয়টি গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়ন তথা বিভিন্ন এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে।
এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোবিন্দ নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপরজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।