১৬ এপ্রিল ২০২১ইং রোজ শুক্রবার হযরতুল আল্লামা সিরাজুল আলম [রহঃ] প্রকাশ শাহ সাহেব এর পবিত্র ৭ম ফাতেহা শরীফ উপলক্ষে খতমে কোরআন, খতমে খাজেগান শরীফ ও ইফতার মাহফিল তাহার পারিবারিক ইবাদতখানায় অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য যে, হযরতুল আল্লামা সিরাজুল আলম [রহঃ] ০১/০৭/২০১৪ইং ২রা রমজান দুনিয়ার সকল মায়া ছেড়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ডাকে সাড়া দিয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন। আলহাজ্ব তমজু মিয়া সওদাগরের ৪র্থ পুত্র ছিলেন তিনি। তাহাকে পারিবারিক কবর স্থান (চাইলদাতল) শায়িত করেন।
কর্মজীবনঃ মাদ্রাসায় দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করেন। দীর্ঘ ৩৬বছর নাঙ্গলমোড়া আশরাফ আলী জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন, বায়তুল মামুর জামে মসজিদে খতিবও ছিলেন।
লেখাপড়াঃ চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে তিনি প্রথম পর্যায়ে কামিল সমাপ্ত করেছিলেন।
ত্বরিকত প্রচারেঃ খতমে খাজেগান শরীফ নাঙ্গলমোড়া-গুমানর্মদ্দন-ছিপাতলীসহ চট্টগ্রামের দূরদূরান্ত পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল খাজায়ে খাজেগান হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী (রাঃ) এর দরবার ও বেশ কিছু খাদেমগণের সাথে। উনার দাওয়াতে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন খাদেমগণ। তিনি যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম ও মুহাদ্দিস কুতুবুল আখতাব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ছাহেব কেবলা আলম (রহঃ) এর মুরিদ ও বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাথেও ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

বৈবাহিক পরিচয়ঃ
তাহার শ্বশুর ছিলেন রাউজান গহিরা এম এ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রধান মুহাদ্দিস মুফতি আবুল মুহছীন শামছী (রহঃ)। বর্তমানে চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস সহ অনেক আলেম এবং ছিপাতলী মাদ্রাসা, গহিরা মাদ্রাসাসহ অনেক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, মুহাদ্দিস, মুফতিরা শামছী (রহঃ) এর ছাত্র ছিলেন।
তাহার বংশঃ
আরবের পবিত্র নগরী কুরাইশ বংশের ৮ভাই বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন। তার মধ্যে ২ভাই নাঙ্গলমোড়া থেকে যান। অন্যদের মধ্যে ২জন নোয়াখালী, অন্যরা বার্মাসহ বেশ কয়েকটি দেশে চলে যান। তালুকদার বংশের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি।


গত ০৯/০৪/২০২১ইং রোজ শুক্রবার হযরতুল আল্লামা সিরাজুল আলম রহঃ এর ৭ম বার্ষিক ফাতেহা উপলক্ষে খতমে গাউছিয়া, খতমে কোরআন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।