আজ ১১ মে ২০২১ইং রোজ- মঙ্গলবার। বাড়িতে থেকে বের হয়েছিলাম ঈদ উপলক্ষে কয়েকজন অসহায় মানুষের জন্য ঈদের কাপড় উপহার স্বরূপ ক্রয় করতে হাটহাজারীতে।
কেনাকাটা শেষ না করেই কিছু পরিচিত মুখও হাটহাজারীতে কেনাকাটা করতে গেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করলাম। কথা হল মোবাইলে, অতঃপর হাটহাজারী কদাচারী বনিক সড়কে দেখা হল তাদের সাথে। তারাও কেনাকাটা শেষ করেছে প্রায়। ব্যক্তিগত আলাপ শেষে করে সিদ্ধান্ত নিলাম বিরিয়ানী গ্রহণ করব।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বাস-স্টেশন না গিয়ে বাজার বা কেনাকাটার মার্কেটের কাছাকাছি কোন এক হোটেলে বিরিয়ানি গ্রহণ করার। অতঃপর সিদ্ধান্ত হল হাটহাজারী বাজারের কাছাকাছি হাটহাজারী কাচারী বনিক সড়কে থাকা ” আল-ফয়েজ ফাস্ট ফুড এন্ড বিরানি হাউজ” এ যাবার।
ঈদের কেনাকাটা তাই নিচ তলায় অনেক মানুষ তাই কোন চেয়ার খালি না পেলে উপরে যায়। সেখানেও দেখি মোটামুটি বিড়। তবে বসার জায়গা আছে।
একজন বয় কে জিজ্ঞাসা করলাম বিরানী কি কি আছে?
বিপ আর চিকেন আছে জানান। দাম জিজ্ঞাসা করলে বলে বিপ ১৬০/- আর চিকেন ১৪০/-

বললাম- বিপ দিতে! তখন বিপ বিরানি দিল। কিন্তু প্লেইট দেখে মনে হল হলুদ মাখা সাদা ভাত। তারপর দেখলাম মাংস। ২পিচ মাংস আর ২পিচ সর্বি। তখন আমার সঙ্গী ২খাওয়া শুরু করল। আমি কোন চিন্তা করেই ২চামচ খেলাম। তারপর মাংসের খুজে চামচ নাড়া-চড়া করলাম, কিন্তু আর কোন মাংসের খুজ পেলাম না।
বয় জিজ্ঞাসা করলে বলে যা দিছে। তখন আরো জানার আগ্রহ। বললাম- এটা কেমন প্রতারণা। সেই উত্তর দিল ভাই সবাই খাচ্ছে। তখন ২য় তলায় থাকা ক্যাশিয়ার কে জিজ্ঞাসা করলাম- ভাই এটা কেমন কথা ১৬০/- টাকার বিরানি ২পিচ মাস আর ২পিচ সর্বি! সেই বলে ৮-৯পিচ মাংস থাকে। থাকে বললাম- আমার কাছে ছবি আছে আপনারা কয় পিচ দিছে। এবং শুধু আমারটা না বাকী ২জন অথবা অনেকেরটা দেখেন!!!!
কিন্তু তারপরও দেখলাম গলা উচু। যেমনি ভাবে তাদের পাওনা টাকা আদায় করছে মনে হয়। তিন জনে বিল ৪৮০/- কিন্তু সেখানে ১০০/-টাকার মাংস ও ভাত দেয়নি। কত বড় প্রতারণা করে তারা ব্যবসা করে যাচ্ছে।

অনেক গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল মানুষ হইত বিরানি খাইতে এই ধরণের হোটেলে যায়। কিন্তু তারা প্রতারণার স্বীকার হয় তা নিজেরাই জানে। এই ধরণের বিষয় গুলো হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বার বার সতর্ক করার পর ঘটে যাচ্ছে। প্রতারণা, অবৈধ ব্যবসা, মেয়াদ বিহীন পণ্য বিক্রয় চলছে হাটহাজারীতে।
যা অবৈধ অর্থ আয়ের নেশায় ডুবে যাচ্ছে হাটহাজারীর কিছু কিছু ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বিষয়টি আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত স্থানীয় প্রশাসনের।
তারপর গেলাম হাটহাজারী কাচারী বনিক সড়কের শেষ অংশে মিষ্টির দোকানে।

বললাম মাঠা আছে? বলল হে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় বোতলটিতে নাম, উৎপাদন-মেয়াদ শেষের কোন কিছুই নাই। তখন জিজ্ঞাসা করলাম এই গুলো কোন কোম্পানি? কোন তারিখ নাম কিছুই নাই!! এটা বিক্রয় করা কি অন্যায় নয়? তখন লেবেল লাগাবে বলেন। কিন্তু তারা আদৌ কতজনকে মেয়াদ বিহীন এইসব পণ্য বিক্রয় করছে জানা থাকার কথা না। কত মানুষের কঠিন রোগের জন্য এই সব মেয়াদ বিহীন খাবার গ্রহণ করার ফলে তা তাদেরও জানার কথা না। দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়া উচিত প্রশাসনের।