শেখ হাসিনা দেশকে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত করেছিলেন: তৈমূর

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত করে ছিলেন। শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষে যারা কথা বলেছেন তারাই স্বাধীনতার পক্ষে। যারা বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের স্বাধীনতার বিরোধী তকমা লাগিয়ে বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত রেখেছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে শহরের মাসদাইর এলাকার মজলুম মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শহরের মাসদাইর এলাকার বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, দেশের রাজনীতিতে গুণগত মানের উন্নয়ন হওয়ার দরকার। আমাদের দেশের চিরাচরিত নিয়ম সেই নিয়মে রাজনীতি প্রতিহিংসামূলক না হয়ে সেখানে গুণগত অবস্থান সৃষ্টি হওয়া দরকার। যাতে এ দেশের মানুষ প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে নিরাপদ মনে করে। দেশের প্রতিটি মানুষ প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যে অপরাধ করবে তার শাস্তি হবে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে থাকতে হবে। সেখানে অনেক ব্যত্যয় ঘটেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। গায়েবি মোকদ্দমা দিয়ে মানুষকে শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সঠিকভাবে রাজনীতি করতে পারেনি। গায়েবি মামলাকে শেখ হাসিনা সরকার নির্যাতনের এবং প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

দেশের সংস্কার প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, এখন সংস্কারের কাজ চলছে। আমি রাজনীতি নিয়ে ভাবি না। দেশের একটা সংস্কার হওয়া দরকার। তবে এ সংস্কার সর্ব বিষয়ে হওয়া দরকার। আগের অবস্থায় দেশ পরিচালনা সিস্টেম একপেশে। যারা ক্ষমতায় তাদের সেবাদাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে আমলারা। অথচ সংবিধানে প্রজাতন্ত্রে সব কর্মচারী দায়িত্ব হবে জনগণের সেবা করা। সংস্কার হতে হবে গণআলোচনার মাধ্যমে গণশুনানির মাধ্যমে। সরকার মুষ্টিমেয় কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা চাই ব্যাপকভাবে আলোচনা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমি আগেই বলেছি তৃতীয় প্রজন্মের দ্বারা সংস্কার হওয়ার দরকার। এ তৃতীয় প্রজন্মই হচ্ছে ছাত্রসমাজ। তারাই দেশ পরিচালনা করেছে। আমি আগেই বলেছি শেখ হাসিনা যদি ছাত্রদের কম্প্রোমাইজ না করে তাহলে শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ছাত্রদের জয় হবে। শেখ হাসিনা যেদিন ছাত্রদের রাজাকার বলছে তখন থেকেই এ আন্দোলনে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। শেখ হাসিনার পতনের অন্যতম কারণ মন্ত্রীদের অসংলগ্ন কথাবার্তা। এদেশের জনগণকে সরকার প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। প্রত্যেক জেলায় এমপি বানানো হয়েছে তারা সবগুলো লুটেরা ছিল।

Facebook
Twitter
LinkedIn

আরো খবর

ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা সজাগ আছি: প্রধান উপদেষ্টা

ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা এখনো সজাগ আছি, ঐক্যবদ্ধ আছি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত যে

বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বলছেন ফেরত যাওয়া ভারতীয় ট্রাকচালকরা

বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ভারত। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ, অবরোধ,

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০০, ধ্বংসস্তূপে আটকা বহু মানুষ

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় শনিবার (৩০ নভেম্বর) আরও অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলাতেই ৪০ জন

সরকারি কর্মচারীদের শুধু নিজের সুবিধা বৃদ্ধির কথা ভাবলে চলবে না

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুধু নিজেদের অধিকার আদায় বা সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা ভাবলে চলবে না। সাধারণ মানুষের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমি এবং